তাই এই নিয়ে কিছু না লেখে কি থাকা যাই। বিশ্বকাপ অনেক আবেগের খেলা, শত কোটি মানুষের ভালোবাসার খেলা। আর তাই এখানে কি টেকনোলজি থাকবেনা তা কি হয়। এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে আলোচিত গোললাইন প্রযুক্তি নির্ভর হবে।
সব থেকে কমন্ট প্রশ্ন থাকে যে ফুটবল এর গোলপোস্ট তো অনেক বড় তাই যে কেও গোল করলে তো সবাই দেখতে পাবে যে গোল হয়েছে না হয় নি? তাই না। কিন্তু এর ক্ষেত্রে অনেক বার এই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে যে কোনো কোনো সময় বল সামান্য একটু লাইনে ডুকে গেছে বা বল কি পুরো পুরি গোলপোস্ট এর ভিতরে ডুকে গেছে। তখন এই সময় ডিসিশন নেওয়া খুব কঠিন। কেননা আসলে কি গোল হয়েছে না কি হয় তা নির্ণয় করা মানুষে কাছে কষ্টকর। তাই এই জন্য গোল লাইন প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছে। যা আমাদের বলে দেবে যে আসলে কি গোল হয়েছে না কি হয়নি। আপনারা সবাই জানেন যে প্রযুক্তি দিন দিন উন্নতি করছে। আর গোল লাইন এর মত অনেক প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অনেক খেলায় দেখা যাবে। যেমন: ক্রিকেট খেলায় হোক আই প্রযুক্তি, হট স্পট এছাড়া অনেক। কিন্তু ফুটবলে কনসেপ্ট হচ্ছে যে যতক্ষন না পুরো পুরি বল গোল পোস্টের ভিতরে না যাই ততক্ষন পর্যন্ত এটি গোলবলা হবেনা।
তখন এই সময় গোল হয়েছে না কি হয় নি তা বলা কঠিন। রেফারি তা চেক করবে, বার বার ভিডিও বার বার দেখা হবে, তখন অনেক সময় চলে যাবে আর সবাই বিরক্ত হবে, আর আপনি কি একটি গোলের জন্য এতক্ষন বসে থাকবে। আর তাই সময় বাঁচানোর জন্য গবেষকরা গোল লাইন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। গোল লাইন প্রযুক্তির জন্য সর্বমোট ১৪ টি ক্যামেরা কাজ করবে। ১৪ টি ক্যামেরা পুরো গ্রাউন্ডকে কভার করে আর ৭ ক্যামেরা গোলপোস্ট এর জন্য। আর এখানে সব ক্যামেরা গুলো হাই স্পিড ক্যামেরা ব্যবহার হবে। আর এখানে সব ক্যামেরা গুলো মাইল একটি থ্রিডি অবজেক্ট তৈরি করবে। যা বল কি বাতাসে ভাসমান না কি মাটিতে মিশে আসে সব কিছু খুঁজে বের করে রাখে। পরে বলকে ট্র্যাক করে কি ভাবে কোন পসিশনে বল মুভ করতেছে।
আর এখানে সব থেকে মজার বিষয় যে অনেক সময় বলকে অনেক খেলোয়াড় ঘিরে রাখে। একটা জাগায় স্থির করে আসে কোনো দিক দিয়ে দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু এই ৭ ক্যামেরা যেকোনো ৩ টি যদি বলকে দেখতে পাই (৩ টি ক্যামেরা দেখা জরুরি ) তখন বলকে সব সময় ট্র্যাক করতে পারবে।
আর বল কোন দিক দিয়ে যাচ্ছে। গোলপোস্টে লেগে ফিরে আছে কিনা এবং গোলকীপার কি সামান্য ভিতরে বল ধরেছে। তার সব কিছু দেখতে পাওয়া যাবে গোল লাইন প্রযুক্তিতে। এখানে আমরা হাই প্রসেসিং এর মাধ্যমে জানতে পারি যে আসলে কি বল গোলপোস্ট এর ভিতরে গেছে না কি যাই নি। আর এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৪ মিলিমিটারে কম ভুল ধরা পড়বে। নরমালি বলকে ট্র্যাকিং করা সহজ এবং কনফার্ম করে যে আসলে গোল হয়েছে কি না। আর গ্রাউন্ডে থাকা রেফারি কাছে একটি স্পেশাল রিচ ওয়াচে মেসেজে এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় আসলে গোল হয়েছে না হয়নি আর রেফারি ও ইনস্ট্যান্ট ফলাফল জানাতে পারে। সেজন্য কোনো ধরনের রিপ্লের প্রয়োজন হবেনা। কেননা এই টেকনোলজি আসলে অনেক হাইটেক আর সেজন্য সব গেমে এটি ব্যবহার হয় না শুধু অল্প কিছু লিক নির্ণয় করার জন্য এই টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে এটি ২০১৪ ওয়ার্ল্ডকাপে এই টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে আর এখন ২০১৮ ওয়ার্ল্ডকাপে।
আবার এর থেকে সস্তা বিকল্প ও আসে। যেখানে কিছু ম্যাগনেটিক সেন্সর লাগানো থাকে মাটির নিচে ও গোলপোস্ট এর ভিতরেও। গোলপোস্টের চারদিকে এবং বলও মোডিফাই করা হয় এবং তার মধ্যে লাগানো থাকে একটি সার্কিট। যদি বল সম্পূর্ণ গোলপোস্টের ভিতরে ডুকে যাই আপনি জানতে পারবেন গোল হয়েছে না কি হয়নি।
1 Comments
good post keep it up..
ReplyDeletehttps://www.emejtech.com/