বঙ্গবন্ধু -১ উপগ্রহ নিয়ে কিছু কথা

বঙ্গবন্ধু -১ উপগ্রহ নিয়ে কিছু কথা

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিস্তারিত

🛰️নাম : বঙ্গবন্ধু-১
🛰️স্যাটেলাইট তৈরীতে পৃথিবীতে ৫৭ তম, বাংলাদেশে প্রথম।
🛰️বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস।
🛰️বঙ্গবন্ধু-১     স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।
🛰️মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
🛰️আজ রাতে বাংলাদেশ সময় ২টা ১৪ মিনিটে আবার উৎক্ষেপণ করা হবে বঙ্গবন্ধু ১।। গত কাল যান্ত্রিক ত্রুটি  কারনে উৎক্ষেপণ ২৪ ঘন্টা পিছানো হয়। 


বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর ফলে কি কি সুবিধা হবে?


  • বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট চালু হলে বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে, সেই সাথে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভূটান এর মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আয় করা যাবে। কারন ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে মাত্র ২০ টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। আর বাকি ২০ টি ভাড়া দেওয়া হবে।
  • বাংলাদেশে এই মুহূর্তে টিভি চ্যানেল আছে প্রায় পঁয়তাল্লিশ টি। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা আই এস পি আছে কয়েকশ। রেডিও স্টেশন আছে পনের টি এর উপরে। আরও আসছে।তাছাড়া ভি-স্যাট সার্ভিস তো আছেই।
  • বঙ্গবন্ধু-১স্যাটেলাইট চালু করতে পারলে দেশে শুধু বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে না, সেই সাথে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভূটান এর মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে।কারণ ২০টি অন্যদেশে ভাড়া দেওয়া হবে।
  • বাংলাদেশকে স্যাটেলাইট ভাড়ার জন্য যে টাকা দিতে হতো তা আর দিতে হবেনা।

  প্রধানত যেসব কারণে স্যাটেলাইটের ব্যবহার করা হয়


  • মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস
  • টিভি বা রেডিও চ্যানেল, ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রযুক্তি
  • নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনায়
  • পরিদর্শন – পরিক্রমা (সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানার জন্য)
  • দূর সংবেদনশীল।
  • মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে।
  • মহাশূন্য এক্সপ্লোরেশন
  • ছবি তোলার কাজে (সরকারের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
  • হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর পূর্বাভাস।
  • আজকাল সন্ত্রাসীরা অনেক রিমোট এরিয়া তেও স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
  • গ্লোবাল পজিশনিং বা জি পি এস।
  • গামা রে বারস্ট ডিটেকশন করতে।
  • পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং আসন্ন হামলা ছাড়াও স্থল সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য ইন্টিলিজেন্স সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেতে।
  • তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনির সনাক্তকরণ ইত্যাদি
  • ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা।
একটি স্যাটেলাইট দেশের জন্য কতটুকু গর্বের সেটা তিনিই বুঝবেন যিনি স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানেন।
আমি গর্বিত, নিজের দেশের স্যাটেলাইট উড়বে মহাকাশে।
সব কিছু ঠিক থাকলে আজ রাতের মধ্যে আমরা আনন্দের আর উল্লাসের খবর জানতে পারবো। আসা করি কেনেডি স্পেস সেন্টারে  এবং স্পেসএক্স  আজ আমাদের নিরাশ করবেনা। 

কেনেডি স্পেস সেন্টারে থাকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিবিসিকে জানিয়েছেন, সমস্যা এখনো নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের ৪২ সেকেন্ড আগে সেটি স্থগিত করে দেয় কম্পিউটার। যেটি হয় যে মোট আট হাজার ধরণের পরীক্ষার-নিরীক্ষা হয়েছে। কোথাও বড় সমস্যা দেখা যায়নি। আশা করছি 'মাইনর'' কোন ত্রুটি হবে।

Post a Comment

0 Comments